শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

কবিতা "হয়ত ভালোবাসি"


হয়ত ভালোবাসি
                                                                 মতিয়ার রহমান দিপু

অনেক রাতের অবসরে যার কথা খুব বেশি মনে পড়ে
পৃথিবীর সব কিছু তুচ্ছ করে জানালার গ্রিলে মুখক্ষানি রেখে,
তার মুখক্ষানি ভেসে আসে দুচোঁখের নক্ষত্রের মাঝে
যৌবন তাকে ঘিরে নতুন রূপে পৃথিবী নেচেছ
ঝিঝিদের ডাকে আর জোনাকির নাচের তালে,
তাকে ভেবে সময় অসময়ে ভেসে চলে গেছে
সে অনেক পুরোন দির্ঘশ্বাস বুকের ভিতরে
এই রাতে আকাশের মাঝে কিছু খুঁজে
ক্লান্ত পৃথিবী আজ আমার কানে কানে বলে,
এই রাতে কাকে ভেবে চোখের কোনে জল পড়ে?
প্রশ্নের কোন উত্তর নেই,আছে পৃথিবীর আজন্ম অগোচরে
এই রাত তবু তাকে ভেবে পার হয়ে যাবে
এক রাত-দুই রাত,শতশত রাত পার হবে
আকাশের রূপালী তারার মাঝে তার চোখ খুঁজে পাওয়া যাবে

কিছুকাল পেরিয়ে যৌবনের শেষ সিঁড়ি বেয়ে
জীবনের সব তৃপ্তি ফুরিয়ে যাবে
হয়ত কিছু রাত তবু হৃদয়ে দাগ কেটে যাবে
এই রাতের তারা তাই আজ কেন জানি বলে
পৃথিবীর নিয়মে মানুষ বদলে গেলে
কিছু সময় তবু জেগে থাকে পুরোন স্মৃতির ফাইলে,
হয়ত কিছুকাল পরে ওই স্মৃতির ফাইল খুলে পড়ে
কেরানির মত দিনের ক্লান্তি মুছে কবিতার রাত জেগে রবে


এখন এই রাতে দূরের তারার দিকে চেয়ে
তার চোঁখের যে ভাষা হৃদয় বুঝে গেছে,
তাই দিয়ে যৌবনের সন্ধ্যার সব কবিতা লেখা হবে
এখন সময় এসেছে শুধু তার রূপ দেখে উপমা খুঁজে পেতে,
তার পর একদিন দূরে যেও চলে,
আজন্ম কাল ধরে তারার মত জ্বলে জ্বলে
আমার কবিতার সব স্মৃতি আলোকিত হয়ে রবে
শুধু দূর থেকে ভুল করে হলেও একবার-
বলে যেও, “কোন একদিন আমাই ভালোবেসেছিলে”

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

কবিতা"অনেকদিন কেটে যাবে"


অনেকদিন কেটে যাবে
           মতিয়ার রহমান  দিপু

ক্লান্ত আমি আজ হয়ে গেছি তার পিছে হেটে
অনেক ভালোভেসে দিন আর রাতের কোলে,
এখন হয়েছে সকাল তাই মনে হয়
পৃথিবীর সব সুখ সব মানুষের নয়!
হৃদয়ের তৃষ্ণার কথা তাকে বলে যায়
যদি সুখেই থাক কারো বুকে রেখে মাথা
তবেই ভুলে থেকো শেষ স্মৃতি কথা।

আমি বড়ই ভালো আছি দিন যায় অবিরত কেটে
সুখের ঠিকানা হারিয়ে গেছে পথিকের পথ হেটে হেটে,

এখন সোনার রোদে ঘাসের বুকে শুয়ে দিন যায় কেটে
কষ্টকে চাঁপা দিয়ে সুখে আছি অনেকের সাথে।
তারা আমার কবিতা শুনে হেসে বলে ওঠে
কি ব্যথার মাঝে কবিতায় সুখের ফুল যায় ফুটে।
-কবিতা কারো চোঁখের দিকে থাকে চেয়ে
আজন্ম কাল; ধরে -ভাবেই চেয়ে যাবে রয়ে
সময় ঘুমাবে আজ সব তার ব্যথা ভু.

আকাশের তারার মাঝে নীরব সুখ থেকে যায় আজীবন
অনেক ব্যথা নিয়ে আকাশের সুখ দেখে হবে যে মরন।


আমার প্রতিরাতের স্বপ্ন ঘুমের অচেতন আত্বার
ঘুম ভেঙ্গে তাই ভেবে কতরাত চলে গেল হায় !
আমার চোঁখ বেধে সুখ গুলো কানামাছি খেলে যায়
হয়ত একদিন খেলার ফুরাবে স।
তারপর আবার সব ব্যথা ভুলে
বহুদিন চলে যাবে সুখের পথ হেটে হেটে
-ভাবেই অনেক দিন যাবে কে।

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

কবিতা "পথিক্"


পথিক্
              মতিয়ার রহমান  দিপু
       
  সেই কুঁড়ি বছর ধরে পৃথিবীর পথিকের বেশে,
         আমি হাটছি পৃথিবীর সেই মেঠো পথে।
      কত কোটি বাঁকা চাঁদ দেখেছি পূর্নিমার শেষে           
        শতশত নদী ডিঙ্গিয়ে,পার হয়েছি আরো কত সাগর,
         তবুও আজো আমি পথিক,পৃথিবীর সেই মেঠো পথে
 
         পৃথিবীর সব দেশ ঘুরেছি,
         কালো আর সাদা চামড়ার মানুষ দেখেছি,
         সেখানেও পাখির ডাকে,সকালের সূর্য হেসে ওঠে।
         চাঁদ আর তারার মেলা সেখানেও রাত জেগে থাকে,
     কিন্তু কৃত্তিম আলোর ভিড়ে সব ডুবে থাকে।
         তাই সব দেশ ঘুরে,ফিরেছি
         ধান ভরা বাংলার সেই মেঠো পথে
 
        শুধু এদেশেই কানা বক পুঁটি মাছ খোঁজে,
        শাপলার ফুল আর কলমি ফোটে।
        বাংলার এই ঘাটে কত তরী বেয়ে যায় মাঝি,
        বাংলার সবুজের মাঝে কত পাখি
        গান গায় প্রকৃতির প্রেমে।
        সেই গ্রামের মেঠো পথে,
       গৃহবধুর চোঁখের জল মুছিতে মুছিতে
       গরুর গাড়ি চলে,
    কোন গ্রামের পরিচিত সেই মেঠো পথে।
 
      সেই কুঁড়িটি বছর পর,আমি আবার এসেছি ফিরে
      এই সবুজ বাংলার তীরে,পথিকের বেশে
      চির পথিক হয়ে ঘুরব আমি সবুজের দেশ।
      পৃথিবীর সেই মেঠো পথ ছেড়ে
      বাংলার সবুজের এই মেঠো পথে,
      হাটবো হাজার যুগ যুগ ধরে
      আমি কবি প্রিয়ো পথিকের বেশে।